বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : গত ২৯ জানুয়ারি প্রয়াত হন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়। এই শূন্য পদে আগামী ১৫জুন অনুষ্ঠিত হবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৭ মে ।
এ পর্যন্ত যেন তর সইছে না সম্ভাব্য প্রার্থী, প্রার্থীর অনুসারী ও ভোটারদের। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সবখানে আলোচনা-বিচার বিশ্লেষণ একটাই- কে হচ্ছেন প্রার্থী? তবে বিএনপি কিংবা জামায়াতের নয়! নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ।
কারণ বিএনপি এ উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণ করবেনা। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি তাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কিন্ত বিএনপির ঘরানার অনেক প্রার্থী ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপির ঘরানার কোন প্রার্থীর নাম শুনা যায়নি। অন্যদিকে কৌশলী অবস্থাবে রয়েছে জামায়াতে ইসলাম। তারা এ নির্বাচনে এক জন প্রার্থী দেবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী বাঁছাইয়ের জন্য গত ৮মে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে। এই সভায় ১০জন আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রত্যাশা করেছেন।
আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, শাহিদুর রাহমান চৌধুরী জাবেদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান) নাজিরা বেগম শিলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আকবর আলী ফখর, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য আব্দুল ওহাব জোয়ারদার মছুফ।
ইতিমধ্যে তাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এই ১০জন মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত নৌকার টিকিট কার হাতে উঠছে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রের ঘোষণার আগ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত টিকিট যেই আনুক নৌকার হয়ে কাজ করার কথা বলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের প্রত্যাশা দলীয় প্রার্থী হিসেবে ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে বেছে নেয়া হবে।
তবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অভাব না থাকলেও সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার অনেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নৌকার যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ইউনিয়নে জোর করেও প্রার্থীদের নৌকা দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হব। তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ মে, রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়ন বাছাই ১৯ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে ও ১৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান জানান, নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে হয় এজন্য যা যা করার আমরা করবো।
