Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-08-03T19:30:28Z
সিলেট

সিলেট ওসমানী মেডিকেলে হামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী দিব্য সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটের সময় শাহপরাণ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দিব্য’র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

গ্রেফতারকৃত দিব্য সরকার নগরীর কাজলশাহ ৫২ নম্বর বাসার রমনীকান্ত সরকারের ছেলে। সে মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী।  


প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে এক রোগীর দুই স্বজনের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই স্বজনকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। আহতাবস্থায় তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা জরুরি, হৃদরোগ ও বর্হিবিভাগ ছাড়া হাসপাতালের সকল বিভাগে সেবা বন্ধ করে দেন।

এছাড়া কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। তাদের সাথে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা মেডিকেল কলেজে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মেডিকেল প্রশাসনের মামলা করাসহ পাঁচ দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে রাত ৩টার দিকে ধর্মঘট ও অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনরতা। তবে এসময় তারা হামলাকারীদের গ্রেফতারে মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল আসামীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় মঙ্গলবার ২টা থেকে ফের ধর্মঘট শুরু করেন তারা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহনির অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওসমানী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিএ-টু প্রিন্সিপাল ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহমুদুল রশিদ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

দুই মামলার আসামিরা হলেন- দিব্য, আব্দুল্লাহ, এহসান, মামুন, সাজন, সুজন, সামি ও সাঈদ হাসান রাব্বি। আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে নগরীর মুন্সিপাড়ার মৃত রানা আহমদের ছেলে সাঈদ হাসান রাব্বি ও কাজলশাহ এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে এহসান আহমদকে সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাব্বি সিলেট মহানগরীর ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ