Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-08-15T09:21:28Z
বিয়ানীবাজার

বিয়ানীবাজারের পিএইচজি হাইস্কুলে টিকটক-লাইকি নিষিদ্ধ

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ানীবাজারের পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভ, স্ন্যাক ভিডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য হয়- এমন ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ আগস্ট) বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হেকিমের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্কুলের অফিসিয়াল পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়।

স্কুলের ফেসবুকে পেইজে প্রকাশিত সেই পোস্টটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হলো-

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু/আদাব।

সম্মানিত অভিভাবক বৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি! ইদানিং খুবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ যেমন- লাইকি, ইনস্টাগ্রম, স্ন্যাপচাট, টিকটক ইত্যাদিতে নামে-বেনামে আইডি খুলে নানা ধরনের অশালীন ভিডিও’র মাধ্যমে কোন কোন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন রকমের আজে-বাজে ভিডিও আপলোড করছে যা শিক্ষার্থী সুলভ আচরণ নয় এবং বিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ড।

বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের অভিমত অনুযায়ী এ কারণেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণীতে পাঠে মনোযোগী হয় না এবং বাড়ির কাজ শিক্ষকদেরকে রীতিমতো প্রদান করে না। তাই আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অনুগ্রহপূর্বক তাদেরকে মোবাইলের অপব্যবহার ও এ হীন কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ের স্টাফ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ইতোঃপূর্বে শিক্ষার্থীদেরকে সতর্কতা মূলক নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তথ্যানুসন্ধান এর মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থীকে এ ধরনের অশালীন কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা কমিটি নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

অনুরোধক্রমে-
মোঃ আব্দুল হেকিম
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
বিয়ানীবাজার, সিলেট।


এদিকে, ফেসবুকে বিদ্যালয়ের এমন পোস্ট দেখে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সেই পোস্টে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

তরিকুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘আসলেই এই আধুনিকতার সাথে তাল মিলাতে মিলাতে ভুল পথে যাচ্ছে আমাদের তরুন প্রজন্মরা। ভালো সিদ্ধান্ত,,, ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।’

ইমাম হাসনাত সাজু নামে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রীরা টিকটক ভিডিও করে। কলেজ কর্তীপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিন দিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

এনায়েত হোসেন নয়ন লিখেছেন, ‘সুন্দর সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে ! কিন্তু কতটুকু কার্যকর হবে?’

এমডি হৃদয় লিখেছেন, ‘সঠিক এবং বাস্তব কথা শিক্ষার্থীরা যে ভাবে পড়ালেখা থেকে অমনোযোগী হয়ে এরকম অশ্লীলতার মত করর্ম কান্ডের সাথে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে তা আগামীতে ভালো হবে না।’

হোসাইন সুমন নামে অন্যজন লিখেছেন, ‘ভালো সিদ্বান্ত তবে এটি সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের জন্য এলাকা ভিত্তিক কিছু সিনিয়র দের হেল্প প্রয়োজন বলে আমার মনে হয় । যারা তাদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও আজে বাজে বিডিও এর তথ্য কর্তপক্ষ কে সংগ্রহ করে দিবে।’

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ