Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-04-14T16:17:36Z
সারাদেশ

মসজিদে নামাজরত এক ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করলেন অপর দুই ভাই

বিজ্ঞাপন
নিহত মো. নজরুল ইসলাম (৪৫)

ডেস্ক রিপোর্ট : সাহ্‌রি খেয়ে বাড়ির পাশেই মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম (৪৫)। প্রথম রাকাতের পর রুকুতে যেতেই রামদা ও চাপাতি দিয়ে নজরুলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন তারই বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম লিটন (৪৮) এবং ছোট ভাই শামছুল আলম শাহিন (৪০)। এ সময় তাদের বড় ভাই বিপুল (৫২) বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

আজ শুক্রবার ভোরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরপুবাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত বশির উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির উদ্দিন। এর পরপরই তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে ভাইদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। বিপুল ও নজরুল একপক্ষ হন। অন্যপক্ষে জাহাঙ্গীর ও শাহীন। তাদের কলহ মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়।কয়েক দিন আগে বাড়ির একটি গাছ কাটা নিয়ে সেই বিরোধ নতুন রূপ নেয়। এ অবস্থায় বিরোধ মেটাতে গত বুধবার বাড়িতে আসেন নজরুল। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এসব নিয়ে চার ভাইয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।সাহ্‌রি খাওয়ার পর মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান নজরুল ও বিপুল। প্রথম রাকাতের পর রুকুতে যেতেই মসজিদের ভেতরে ঢুকে রামদা ও চাপাতি দিয়ে নজরুলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন জাহাঙ্গীর ও শাহীন। ঠেকাতে গিয়ে আহত হন বিপুল। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বিপুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত দুই ভাই পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া অন্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ