বিজ্ঞাপন
সৈয়দ রাসেল আহমদ: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে গিয়েছেন। আগেভাগেই জনসম্পৃক্ততা গড়ে তুলছেন, মানুষের দ্বারেদ্বারে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে আওয়ামী লীগ ঘরনার প্রার্থীরা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন।
সিলেট ৬ আসনে বেশ আগেভাগেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়াও রয়েছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি কাদির চৌধুরী এলিম।
একদিকে সরওয়ার হোসেন নিজের মতো মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি থেমে নেই উপজেলা চেয়ারম্যান এলিম চৌধুরী। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম ইকবাল চৌধুরীর ছোট ভাই এলিম চৌধুরী। তার অবর্তমানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে উপনির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রথম বার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই চমক দেখিয়েছিলেন এলিম চৌধুরী, একমাত্র এলিম চৌধুরী পেরেছিলেন নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে অন্যান্য দলের সমর্থকদের সমর্থন আদায় করে নিতে। এর পেছনে অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করলেও বেশিরভাগ মানুষের একটাই ধারণা এলিম চৌধুরী কাজে বিশ্বাসী। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেও তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছিলেন,সেসব কার্যক্রমকে অনেকেই তার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে দেখছেন।
তবে এবার তিনি সিলেট ৬ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচনে প্রায় আটঘাট বেঁধে নেমেছেন বলেই ধারণা করছেন ভোটাররা। উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পেছেনেও উপর মহলের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ মনে করছেন আগেভাগেই বড় ধরণের কোন ইঙ্গিত হয়তো পেয়েছেন, তাই সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
তবে গোলাপগঞ্জের স্থানীয় জনগণ এলিম চৌধুরীর সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে ব্যাপক আগ্রহের সাথে গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকের ধারণা এলিম চৌধুরী যদি দল থেকে মনোনয়ন পান তাহলে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি হবেন,যিনি সর্বজনীন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবেন।
এর পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,তা তার এই অল্প সময়ে সেসব প্রতিশ্রুতি সম্পন্নকরণে দারুণ সফলতার ছাপ রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি কোন বিশেষ ব্যক্তিদের ওপর নির্ভরশীল না,তার কাছে যেতে বিশেষ কারো মাধ্যমেরও প্রয়োজন হয় না,এর জন্য সাধারণ মানুষ যেকোন সময় সরাসরি তার সাথে দেখা করতে পারেন,এটিও তার জন্য বড় একটা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একদিকে গোলাপগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন গোলাপগঞ্জের একজন সাংসদ পাওয়ার। সেই পালে কিছুটা হাওয়া লাগিয়েছেন এলিম চৌধুরী, ভোটারদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। এবার হয়তো গোলাপগঞ্জ থেকে একজন সাংসদ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি সেটিই এখন দেখার বিষয়।