বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানপাটে ও রাস্তা-ঘাটে মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনের গতিরোধ করে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দার চলছে চাঁদাবাজি। ছবিটি বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বইটিকর বাজার এলাকা থেকে তোলা।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানপাটে ও রাস্থা-ঘাটে মোটরসাইকেল, বাস সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনের গতি রোধ করে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে চাঁদাবাজি। কিছুতেই কমছে না হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম। প্রায়ই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় চোখে পড়ছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। নতুন এই চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপজেলার সচেতন মহল।
এদিকে, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে নিস্তার নেই পথযাত্রীদের। আবার হাতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। পথচারীদের কেউ কেউ হাতির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। হাতির কারণে শিক্ষার্থীরা ও যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বইটিকর বাজারে চোখে পড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। রাস্তার দুই পাশে থাকা দোকান ও বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা তুলছে। এমনকি রাস্তায় হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে ও প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করে। চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম থেকে বাদ পড়ছে না টমটম সহ অটোরিকশা চালকদের।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী সহ সাধারণত জনগণ।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী সহ সাধারণত জনগণ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী জুনেদ আহমেদ বলেন, কয়েকদিন পর পর হাতি দিয়ে চাঁদা নিতে আসে ব্যবস্যা প্রতিষ্টানে। টাকা না দিলে সরে না হাতি ভাদ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।
কার চালক ফরিদ উদ্দিন বলেন, কিতা খইতাম রে বাবা অখল কয়দিন বাদে বাদে যে তারা হাতি দিয়া এক মবডং লাগাইন আখতা কিবান ইমারজেন্সি কোনো কাগাত জাইতাম তারার লাগি আর ফারা যায় না।
নয়ন নামের এক মাক্রবাস চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় মাঝে মধ্যেই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। টাকা না দিতে চাইলে হাতি গাড়ির সামনে থেকে সড়ে না।
উপজেলার বেশকয়েকটি বাজারের প্রতিটি দোকানে দোকানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য ক’দিন পরপরই দেখা যায়। সচেতন মহলের প্রশ্ন এটা এক ধরণের চাঁদাবাজি। এটা দেখার কেউ নেই। রাস্তা বন্ধ করে এরা তো একধরণের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কেউ তাদের কিছু বলতে পারছে না কেন?
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।