Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-09-21T18:19:36Z
গোলাপগঞ্জ

মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে গোলাপগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটি গঠন, অভিযোগ

বিজ্ঞাপন


জি ভয়েস ডেস্ক:: মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি বাণিজ্য করে অছাত্র, অযোগ্যদের দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও ঢাকাদক্ষিণ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ত্যাগী, শিক্ষিত ও মামলা-হামলার শিকারে নির্যাতিত কাউকেই রাখা হয়নি।

এমন অভিযোগ করেছেন কমিটি থেকে বঞ্চিত একাধিক নেতা-কর্মী। অর্থনৈতিক লেনদেন, যোগ্যদের অবমূল্যায়ন, অছাত্রদের স্থান সহ গঠনতন্ত্র বিরোধী নানা অভিযোগ এনে তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বরাবর ও ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান ওমর ফারুক কাওসার এর হাতে অভিযোগের অনুলিপি তুলে দেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষে জাহেদ আহমদ মান্না, দিদারুল ইসলাম, দুলাল আহমদ, মাজহারুল ইসলাম। কলেজ ছাত্রদলের পক্ষে কামিল তালুকদার, সুবেদ আহমদ, তোফায়েল আহমদ সুমেল, নজমুল ইসলাম চৌধুরী ফাহিম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে অছাত্র ও এসএসসি সার্টিফিকেট বিহীন অনেককে স্থান দেয়া হয়েছে। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফাহিম চৌধুরী একজন অছাত্র। তিনি ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। এসএসসি’র সার্টিফিকেট জাল করে নিজেকে ছাত্র হিসেবে প্রমাণ করেছেন। যা সম্পূর্ণ ভুয়া। কমিটির ৩নং যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান তিনিও একজন অছাত্র, ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তারও প্রদানকৃত সার্টিফিকেটটি ভূয়া। উপজেলা কমিটির আহবায়ক তানজিম আহাদ এসএসসি পাস করলেও বর্তমানে তিনি অছাত্র।

ঢাকা দক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মতিউর রহমান মুমিন কলেজের ছাত্র নয়। তিনি কলেজের ভূয়া প্রত্যয়ণপত্র দিয়ে নিজেকে কলেজের ছাত্র প্রমাণ করে ছাত্রদলের পদবী লাভ করেছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম মতিউর রহমান মুমিনের ছাত্রত্ব সম্পূর্ন অস্বীকার করেছেন। অথচ অত্র গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, পরিক্ষীত, ত্যাগী, নির্যাতিত, শিক্ষিত ছাত্রনেতারা রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এ ব্যাপারে সাংগঠনিক টিমের দল নেতা, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসরুর রাসেল বলেন, আমরা ত্যাগী, পরিক্ষিত, শিক্ষিত ও নির্যাতিত দেখে প্রস্তাবিত কমিটি গঠন করে জেলা বরাবরে প্রেরণ করেছি। যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, ওই কমিটির সাথে আমাদের প্রস্তাবিত কমিটির মিল নেই।

রাসেল বলেন, আমাদের কমিটিতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেওয়া হয়েছিল- জাহেদ আহমদ মান্না। তিনি বর্তমানে এমসি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে মাষ্টার্স অধ্যায়ন করছেন। এছাড়াও বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব ফাহিম চৌধুরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আমাদের কাছে কোন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি। তাই প্রস্তাবিত কমিটি থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান ওমর ফারুক কাওছার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।

সূত্র: সিলেট প্রতিদিন
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ