বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ :: সিলেট কানাইঘাট-সড়কের গোলাপগঞ্জ বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকায় মাত্র ৫০ ফুট রাস্তা সংস্কারের অভাবে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাঘা ইউনিয়নের কয়েক হাজার ও কানাইঘাট উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের।
প্রায় ১ বছরের কাছাকাছি সময় থেকে রাস্তাটি ভাঙনের কবলে পড়লে যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে রাস্তার ভাঙন। প্রতিদিন ছোট-বড় শতশত গাড়ি যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মাল বাহী ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। দুর্ভোগ কতটা চরমে গাড়িতে উঠলে বুঝা যায়। বেশির ভাগ কষ্ট পোহাতে হয় রোগীদের৷ এক সাথে দুইটি গাড়ি একটি আরেকটিকে অতিক্রম করতে পারে না। ভাঙনের গর্তে পড়লে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ধাক্কা দিয়ে গর্ত থেকে গাড়ি তুলতে হয়।
এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন করেও সাড়া পায়নি। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ইট-বালু, মাঠি দিয়ে কিছুটা যাতায়াত উপযোগী করলেও বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে রাস্তায় কাঁদা হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেকটা অবহেলিত হয়ে পড়েছে এই রাস্তাটি। যেন দেখার কেউ নেই। মুরাদপুর থেকে শুরু হয়ে কানাইঘাট পর্যন্ত পুরো রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত রয়েছে।
সরেজমিন রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের পাশে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা কানাইঘাটগামী একটি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক আটকে আছে।
ট্রাকের চালক শাহিন মিয়া বলেন, প্রায় ২ ঘন্টা থেকে এখানে বসে আছি। ভাঙন পাড়ি দিতে গেলে গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আটকে আছি।
অটোরিকশা চালক তামিম আহমদ বলেন, আমরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। অনেক সময় গর্তে পড়ে গাড়ির বিভিন্ন জিনিস ভেঙে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন থেকে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। কর্তৃপক্ষের কোন সুদৃষ্টি এখানে পড়ে না। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সজমুল আহমদ খান বলেন, ভাঙন প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী মিলে গর্ত বেশি হওয়ায় ইট-বালু, মাঠি দিয়ে কিছুটা যাতায়াত উপযোগী করলেও বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে রাস্তায় কাঁদা হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানা মিয়া জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাস্তাটি সরেজমিন এসে দেখবেন। কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।