Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-11-23T19:24:10Z
সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে তামান্না হত্যার বিচার চাইলেন 'মা'

বিজ্ঞাপন

স্টাফ রিপোর্টার:: সিলেট নগরীর কাজিটুলায় স্বামীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত হওয়া তামান্না আক্তারের মা তার মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমার মেয়েটি নির্দোষ। আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য তার স্বামী মেরে ফেলেছে। আমি কিছু চাইনা আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাইছি।  

তামান্না বেগমের বাড়ি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামে। তবে মা-ভাই-বোন ও পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তামান্না গোলাপগঞ্জ উপজেলার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। 

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর একটি জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আল মামুনের সাথে জাঁকজমক ভাবে বিবাহ হয় তামান্না বেগমের।

ঘাতক আল-মামুন এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামুনের বিরুদ্ধে আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাও রয়েছে। আগের স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে মামুনের।

সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।

পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী এবং রোববার রাতের কোনো এক সময় তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মামুন।

তামান্নার স্বামী মো. আল মামুনের জন্মস্থান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরে। তবে তার ভোটার আইডি কার্ডে ঠিকানায় রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বারুতখানা এলাকার নাম। তিনি বারুতখানা এলাকার  আবুল কাশেম সরদার ও আমম্বিয়া বেগমের ছেলে। 

তামান্নার খালাতো ভাই মো. ইকবাল হোসেন  জানান, মামুন আগেও একটি বিয়ে করেছে। সেই বিয়ের বিষয়টি গোপন করে সে তামান্নাকে বিয়ে করে। এ ক্ষেত্রে মামুনকে সহায়তা করেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের শাহনাজ পারভিন নামের এক মহিলা কর্মকর্তা।

ইকবাল আরও বলেন, ওই মহিলা মামুনকে তার চাচাতো ভাই বলে পরিচয় দেন এবং তামান্নার পরিবারে বিয়ের জন্য পীড়াপিড়ি করতে থাকেন। বিয়ের সময় টাকা দিয়েও শাহনাজ পারভিন সাহায্য করেন তামান্নার পরিবারকে। এসময়ের শাহনাজ পারভিনের আচরণই আমাদের কাছে সন্দেহজনক ছিলো। এ বিয়েতে তামান্নার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের অসম্মতি ছিলো। কিন্তু শাহনাজ পারভিনের পীড়াপিড়িতেই এ বিয়েটি হয়।

মামুনের বিরুদ্ধে তার আগের স্ত্রীর দায়ের করা একটি মামলাও রয়েছে জানান তামান্নার খালাতো ভাই ইকবাল। সে স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে মামুনের।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি  মামলা ধায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ