Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-02-16T09:19:02Z
সিলেট

আলোচিত প্রতারক সাহেদ এখন সিলেটের কারাগারে

বিজ্ঞাপন


জি ভয়েস ডেস্ক: সিলেটে দায়েরকৃত চেক জালিয়াতির তিন মামলায় বহুল আলোচিত সাহেদ করিমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। আরও একটি প্রতারণার মামলায় বাদির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা এ মামলাগুলো করেছিলেন। মঙ্গলবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাহেদ করিমকে এই তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।

এরআগে, আদালতে তিনটি চেক ডিজঅনার ও একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী ‘মাওলা স্টোন ক্রাশার মিল’র সত্ত্বাধিকারী শামসুল মাওলা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেছিলেন পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। ব্যবসায়ী মাওলা সাহেদ করিমের কাছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সেই পাওনা টাকার বদলে সাহেদ করিম ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার তিনটি চেক দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ১০ লাখ টাকার একটি ভুয়া চেক দিয়ে (চেক নম্বর- ৯০২৬৪৬৩০) শামসুল মাওলার কাছ থেকে পাথর কিনে নিয়েছিলেন সাহেদ। পরবর্তী সময়ে ওই চেকটি অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতীয়মান হয়। এজন্য আদালতে মাওলা বাদী হয়ে আরও একটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জৈন্তাপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেকের বিপরীতে তিনটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন সিলেটের ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। গত ৮ নভেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের ওই মামলার শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাহেদকে এই তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সাহেদকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা বলেন, ‘ঢাকায় গিয়ে সাহেদের সঙ্গে দেখা করলে পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য পাথর সরবরাহের বড় একটি কাজ পাইয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। ওই সময় সাহেদ নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস বলেও পরিচয় দেন। এক পর্যায়ে তার কথায় বিশ্বাস করে ৩০ লাখ টাকার পাথর সরবরাহের চুক্তি করেন সাহেদ। পরে বিল আনতে গেলে তাকে ১০ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক দেন।’

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ