Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-03-08T17:05:42Z
গোলাপগঞ্জ

উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে গোলাপগঞ্জে মাটির চুলা

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ: একটা সময় ছিল যখন শীতকাল আসতো, তখন মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির নারীরা ঘরের পাশে মাটির চুলা তৈরি করতেন। আশেপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি এনে সুন্দর করে মাটির চুলা বানাতেন তারা। চুলার চারপাশে বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ দ্বারা ফুটিয়ে তুলতেন চুলার সৌন্দর্য। বাতাসের কারণে আগুন যাতে নিভতে না পারে, সেজন্য চারপাশে বাশের খুঁটিতে সিমেন্টের বস্তা বা চালের বস্তা দিয়ে আড়াল দেওয়া হতো। এরপর কাঁচা মাটির তৈরি চুলা রোদে দিয়ে কয়েকদিন শুকানো হতো শক্ত হওয়ার জন্য।

প্রতিদিন সকাল হলে আশেপাশের জঙ্গল থেকে গাছের শুকনো পাতা জোগাড় করার জন্য বাড়ির ছোট্ট শিশুদের নিয়ে ছুটতেন নারীরা। বস্তা ভরে শুকনো পাতা নিয়ে আসতেন বাড়িতে। শুকনো পাতা জমিয়ে রাখার জন্য আলাদা ঘরও তৈরি করা হতো। রাত বা দিন, রান্নার সময় হলেই এসব শুকনো পাতা দিয়ে রান্না শুরু হতো। রান্নার স্বাদ যারা খেয়েছেন তারাই জানেন।

কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সবকিছু। সবকিছুতে উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করা এসব জিনিস কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের মাটির চুলা সচরাচর এখন আর দেখা যায় না। একসময় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেখা যেত এসব মাটির চুলা। এখন বেশিরভাগ বাড়িতে গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডারের চুলা বা কেরোসিনের চুলা অহরহ দেখা যায়।

গত শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাউশি গ্রামের এক বাড়িতে হঠাৎ দেখা যায় মাটির চুলা। সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া এ মাটির চুলা ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সেই সঙ্গে কথা হয় ওই বাড়ির নারী লিলা বেগমের সাথে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় থেকে শীতকাল এলে আমরা ঘরের পাশে মাটির চুলা তৈরি করি। সারাদিন বাড়ির ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পাশের কয়েকটি জঙ্গল থেকে শুকনো পাতা জোগাড় করি। শীতকাল গিয়ে বৃষ্টির সময় এলে ঘরের মধ্যে রান্না করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ এ ধরনের চুলায় রান্না করতেন। সেটা অনেকটা কমে গেছে। পাতা দিয়ে মাটির চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদটাই আলাদা।’

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ