Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-03-07T07:59:15Z
সারাদেশ

টাকা পাওয়ার গুজবে ইন্টারনেটের দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড়, ফায়দা লুটছেন কারা?

বিজ্ঞাপন


ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাকালীন সময়ে প্রতি শিক্ষার্থীকে সরকার ১২ হাজার টাকা দেবে এমন গুজবে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ইন্টারনেটের দোকান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। রোববার শহরের বিভিন্ন ইন্টারনেটের দোকান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

অন্যদিকে এই সুযোগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইন্টারনেট দোকানের মালিকরা। এর পাশাপাশি কিছু স্কুল ও কলেজ প্রধানরাও প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।

মুক্তাগাছায় শনিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে করোনাকালীন সময়ে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১২ হাজার টাকা দেবে সরকার। এ জন্য তাদের দরকার হচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র। এর পর ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে ইন্টারনেটের দোকান থেকে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে আবেদন করলেই মিলবে টাকা। 

এমন খবরে শনিবার থেকে মুক্তাগাছার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে ইন্টারনেটের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। রোববার ১১টার দিকে কলেজ রোড, বড়হিস্যা বাজার এলাকার বিভিন্ন ইন্টারনেটের দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সুযোগে ইন্টারনেট দোকানদাররা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২শ’ টাকা করে আদায় করছেন। এর পাশাপাশি মানকোন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুলের নামে উঠেছে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ।

শহরের এনএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির সোহাগী আক্তার বলেন, করোনকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হবে, এ খবরে তারা প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে ইন্টারনেটের দোকানে এসেছিল আবেদন করতে।

শিক্ষার্থীদের ভিড়ের বিষয়টি স্বীকার করে বড়হিস্যা বাজার এলাকার এসএস ফটোস্টেট দোকানের ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষাথীদের বারবার বোঝানোর পরও তারা দোকানে ভিড় করছে। তবে কিছু দোকানদার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে এ কথা সত্য।

অভিযোগ অস্বীকার করে মানকোন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ বলেন, প্রত্যয়নপত্র প্রদানের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তবে ফটোস্ট্যাট বাবদ ২০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরণের টাকা দেওয়ার কোন নোটিশ তারা পাননি।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ