Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-05-21T14:50:00Z
বিয়ানীবাজার

বিয়ানীবাজারে প্রতারণা মামলায় ৪ বছর আত্মগোপনের পর পুলিশের হাতে ধরা

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : বিয়ানীবাজার থেকে তিন লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি মামলায় ৪ বছর আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসামি মনোয়ারা খানম ওরফে মিনা নামে এক নারীকে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম নয়াগ্রাম এলাকার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত মনোয়ারা বেগম সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ঘোষগাও গ্রামের আলীম উদ্দিনের স্ত্রী। মনোয়ারা বেগমের পিতার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়ীপাড়া এলাকায়। তিনি পৌরসভার পশ্চিম নয়াগ্রামের একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করেন।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, মিজানুর রহমান জুবের নামে এক যুবকের করা চেক জালিয়াতি মামলায় মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ৪ বছর ধরে সে আত্মগোপনে ছিল। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে নয়াগ্রামের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, স্বামী আলীম উদ্দিনকে বিদেশে পাঠানোর নামে ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল মনোয়ারা খানম ভাগ্না বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়ীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জুবেরের কাছ থেকে তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে নগদ তিন লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে নেন। পরে নির্ধারিত সময়ে সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে তিন বছর পরও ফেরত দেননি মনোয়ারা। এরপর ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর কয়েকজন মধ্যস্থাকারীদের মাধ্যমে মনোয়ারা খানম ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি টাকা ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তাতেও ব্যর্থ হন মনোয়ারা বেগম। পরে ওইদিন মধ্যস্থাকারীদের দীর্ঘ আলোচনার পর পুনরায় মনোয়ারা খানম স্বাক্ষরিত ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তারিখে নিজের ব্যাংক একাউন্টের একটি চেক ভাগ্না মিজানুর রহমান জুবেরকে (জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বিয়ানীবাজার শাখা) প্রদান করেন। পরবর্তীতে সেই তারিখে চেকটি নগদায়ন করতে পারেননি মিজানুর রহমান জুবের এবং পরে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করে।

ওই বছরের১৪ মার্চ সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে মনোয়ারা খানমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে বিচারাধীন এই মামলার চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় আদালত রায় প্রদান করেন। রায়ে বিবাদীকে চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ আদালতে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়, অন্যথায় ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। এরপর মনোয়ারা খানম আদালতের আদেশ অমান্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় এবং গ্রেপ্তারের পূর্ব পর্যন্ত সে আত্মগোপনে ছিল।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নারী তারই এক আত্মীয়ের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন। তিনি গত চার বছর পলাতক ছিলেন। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার এবং শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ