বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তৃতীয় ধাপে দেশজুড়ে চলছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। গোলাপগঞ্জেও তারই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল ধরণের দোকানপাট, শপিংমল। তবে কিছু কিছু জায়গায় খোলা থাকতে দেখা যায় দোকানপাট। প্রতিদিন যে জায়গা গুলো লোকে লোকারণ্য থাকতো সে জায়গাগুলোতে নেই মানুষের ভিড়। হোটেলে নেই মানুষের জনসমাগম। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। যারাই বের হচ্ছেন বিশেষ প্রয়োজনে। প্রয়োজন শেষ করে আবারও ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে। শতশত গাড়িতে জ্যাম লেগে থাকতো যে সকল স্থান সেই স্থান গুলোও আজ ফাঁকা। সড়কে পণ্যবাহী পরিবহণ ছাড়া আর কিছুই চলতে দেখা যায়নি। কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অনেকের নেই। মানা হচ্ছে না পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল বেলা সরেজমিন উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম শহর পৌর শহরের গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গুনা কয়েকজন মানুষ। যাদেরকেই দেখা গেছে তারা প্রয়োজনে এসেছেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ির অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে।
সিলেটের উদ্দেশ্যে যাবেন নাহিদ আহমদ। তিনি বলেন, 'জরুরি কাজ ছিল সিলেটে। অনেক্ষণ যাবত থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। গাড়ি মিলছে না। কবে যাব সেটারও ঠিক নেই।'
কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমান উদ্দিন বলেন, 'একেবারেই বেকার৷ এখন পর্যন্ত এক টাকারও ব্যবসা হয়নি। ক্রেতা নেই। কি ভাবে বিক্রি হবে। বিকাল ৫ টার সময় বন্ধ করা জন্য পুলিশ এসে বলে গেছে।'
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সকাল থেকে মাঠে অবস্থান করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) রাশেদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ সেনাবাহীনির একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, 'লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের জরিমানা করা হয়। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয় বলে তিনি জানান।'