Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-09-12T10:19:32Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জে ছেলেদের উপর মিথ্যা মামলা থাকায় চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন মা !

বিজ্ঞাপন

স্টাফ রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জে বাদেপাশায় একটি পরিবারকে হামলা ও মামলা করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব হয়রানির অভিযোগ করেন বাদেপাশা ইউনিয়নের বাদেপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হোসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃত মছব্বির আলীর ছেলে মইজ উদ্দিন আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন এবং আমাদের জায়গা দখল নিজেদের নামে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। মইজ উদ্দিন গংরা ২০২০ সালে আমার একই বাড়ির আমার চাচীকে বাদী করে আরেকটি মিথ্যা মামলা আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়ায় মইজ উদ্দিন।

আমার ঘরের পাশাপাশি বাদেপাশা গ্রামের ইতালী প্রবাসী মতলিব আলীর বসত ঘরে বসবাস করেন জাহেদা বেগম। এই পরিবারের দেখাশুনা ও মুতলিব আলীর জায়গা সম্পত্তি দেখাশুনা করে মছবিবর আলীর ছেলে মইজ উদ্দিন।

গত ৩১মার্চ বিকাল আনুমানিক ৩টায় ইতালী প্রবাসী মুতলিব আলীর বসত ঘরের ছাদের ময়লা পানি নিয়ে আমার ছোট ভাই কামরান ও মইজ উদ্দিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মইজ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে কামরানের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মইজ উদ্দিনের ভাই আছলম আলীসহ আরও কয়েকজন কামরানের উপর হামলা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোাগিতায় আহত কামরানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল ৪টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মইজ উদ্দিন গংরা আমি ও আমার ভাই কামরানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে উপ পরিদর্শক আশীষ চন্দ্র তালুকদার একদল পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমি ৮জনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ ও অভিযোগ নথিভুক্ত না করায় ৫এপ্রিল সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করি। পরে এই মামলাটি গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় রেকর্ড করা হয়। এই মামলায় আসামী করা হয় পিতা মছব্বির আলীর ছেলে মইজ উদ্দিন,মৃত মতাহির আলী মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম মুসলিম, মছববির আলীর ছেলে আছলম উদ্দীন, মইজ উদ্দিনের ছেলে জিছান উদ্দীন, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিপি বেগম, মইজ উদ্দিনের স্ত্রী লালমতি বেগম, ছল্ম উদ্দিনের স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম, মইজ উদ্দিনেরর মেয়ে নুছরাত আক্তার সীমা কে। মইজ উদ্দিন গংরা দুই দফা হামলার পরেও এই ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা মামলা করে।

এরপর জায়েদা বেগমকে দিয়ে করানো মামলায় উল্টো মইজ উদ্দিন গংরা ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরব্বিদের নিয়ে মিমাংসা করার জন্য আমাদের পরিবারের সাথে বৈঠকে বসে।

এই বৈঠকে মইজ আমাদের যেসব জায়গা দখল ও তাদের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে করে নিয়েছে তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উপস্থিত সকলের কাছে স্টাম্পে একটি লিখিত দেয়। এই বৈঠকে মইজ উদ্দিনের পক্ষে শালিস ছিলেন বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ, শরফ উদ্দিন পাকি মিয়া ও আব্দুল কাইয়ুম বিলু মিয়া এবং হোসেন আলীর পক্ষে শালিস ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম, মাতাব উদ্দিন, মজা মিয়া। এই শালিস বৈঠকে যেসব লিখিত প্রস্তাব হয় তার একটা মইজ উদ্দিন পালন করেনি। এই শালিসের কাগজটি এই বৈঠকের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বিলু মিয়ার কাছে রয়েছে।

হোসেন আলী আরো অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা মামলার কারণে আমরা বাড়িতে না থাকলে আমাদের মা চিকিৎসার অভাবে বাড়িতে মারা যান৷ আমরা বাড়িঘরে না থাকায় চিকিৎসা করতে পারিনি। এলাকার অনেকের ধারে ধারে আমি ধরনা দিয়েছি যাতে আমি ন্যায় বিচার পাই। কিন্তু সবাই আমায় আশ্বাস দিয়ে সরে গেছেন। আমি এই নির্যাতন থেকে প্রতিকারের জন্য সিলেট-৬ আসনের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি সহ সকলের
হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে বৈঠকে যে লিখিত কাগজ তৈরী করা হয় এই কাগজ কোথায় আছে জানতে চাইলে আব্দুল কাইয়ুম বিলু মিয়া তার কাছে নেই বলে তিনি অস্বীকার করেন।

তবে অপর শালিস আব্দুল কাইয়ুম জানান, বৈঠকের লিখিত কাগজটি বিলু মিয়ার কাছে রাখা হয়েছে। কেননা এই শালিস বৈঠকে তিনি প্রধান শালিস ছিলেন।

কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এহতেশামুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তারপরও এই বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ