Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-10-18T18:00:26Z
জাতীয়

ধর্মান্ধদের কথায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না : তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনার মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেছেন, তিনি ধর্মান্ধদের কথায় ক্ষমা চাইবেন না।

সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান মোতাবেক দেশকে আবারও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সংসদে বিল আনবেন। তার ওই বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টি, বিএনপি এমনকি তার দলের কোনো কোনো নেতাও তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন, কেউ তার পদত্যাগও দাবি করেছেন।

সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে মুরাদ হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, কেউ কেউ ক্ষমা চেতে বলেছেন! সাবধান হয়ে যান। ক্ষমা চাইলে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাছে ক্ষমা চাইব। ধর্মান্ধ যারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে তাদের কথায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংসদ সদস্য হিসেবে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে।’

সমালোচকদের তার মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুরাদ হাসান বলেন, ‘ধর্মের নামে ব্যবসা বাংলার মাটিতে আর চলবে না। ইসলাম নিয়ে ফতোয়া চলবে না। একাত্তরের দালালরা আমাকে নিয়ে বিরোধিতা করে কুশপুত্তলিকা দাহ করে। আমাকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না,সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বলুন। বাংলার মাটিতে এমন শক্তি জন্ম হয়নি যে আমাকে দাবায় রাখতে পারে। এদেশের যত ইতিহাস তা বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

সোমবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মুরাদ হাসান বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক হত্যাকাণ্ড হয়েছে ব্যক্তিপর্যায়ে। কিন্তু পরিবারসহ হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে বিরল। কী দোষ করেছিল ছোট শিশু রাসেল? বাংলার মানুষ জানতে চায়। কী অন্যায় করেছিল? সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানতে চায়।’

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গটি এদিন টেনে এনেছেন মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে এদেশ ছিল বিচারহীনতার দেশ। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়া। আর খালেদা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। জিয়া ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারী। পনের আগষ্টের এক নাম্বার আসামি। এই বাংলার মাটিতে অনেক বিচার হয়েছে। খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারও হবে। জিয়ার নামে কোনো স্থাপনা এদেশে থাকবে না। জিয়া উদ্যানে জিয়ার মাজার থাকবে না। জিয়া কি পীর ছিল? ’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বলরাম পোদ্দার।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ