বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দুর্ঘটনার জন্য অধিক পরিচিত। এ কারণে হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখার প্রবল ইচ্ছে দমিয়ে রাখার যুদ্ধ চলছে অনেকের মধ্যে। অনেকেই জানেন না, বিমানে না গিয়ে বাসেও যাওয়া যায়। সেটা তুলনামূলক কম ঝুঁকির।
সড়কপথে নেপাল যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে হরিদাসপুর/গেদে পোর্টের ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা লাগবে। ভিসা ঝামেলা শেষে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিন। হরিদাসপুর বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি চলে যান। সেখান থেকে পানির টাংকি যেতে হবে। বাস ভাড়া ২০ রুপি। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাকরভিটা থেকেই পোখরা যাবার বাস পাবেন। ভাড়া নেবে ১২০০-১৪০০ নেপালি রুপি। সময় লাগবে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
পোখরার লেক সাইডে হোটেল পেয়ে যাবেন। পোখরাতে সাইট সিয়িং এর জন্য রিজার্ভ কার বা টাক্সি নিতে পারেন সারা দিনের জন্য। ভাড়া নেবে গাড়ি প্রতি তিন থেকে চার হাজার পাঁচশত টাকার মধ্যে। তারাই সব স্পট ঘুরিয়ে দেখাবে। সরংকোটে সূর্যোদয় দেখা থেকে ভ্রমনের শুরু, ডেভিস ফলস, গোখড়া মিউজিয়াম, আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম, হোয়াইট রিভার, ভেত কেব, ফেওয়া লেক, বেতনাস লেক ইত্যাদি। চাইলে প্যারাগ্লাইডিং, আল্ট্রা লাইট ফ্লাইট, রাফটিং, ট্রাকিং করতে পারেন।
এবার চলে আসুন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরে। বাসে ভাড়া নেবে ৪৫০-৭০০ রুপি। শপিং করতে পারেন এই শহরে, ভালো মানের অনেক মল আছে কাঠমান্ডুতে। দেখতে পারেন দরবার স্কয়ার, নাগারকোট, সয়ম্ভু, বাঘ বাজার ইত্যাদি। একইভাবে এবার ফেরার পালা!