Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-04-17T15:29:47Z
বিয়ানীবাজার

বিয়ানীবাজারে ❛কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়❜ চুরির অভিযোগ এনে নির্যাতন!

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: ❛কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়❜ মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে সিলেটের বিয়ানীবাজারের এক নারীকে নিজের গ্রাম থেকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ওই নারী (২৪) এ নিয়ে বিয়ানীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ছয়দিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।

ওই নারী জানান, গত সোমবার উপজেলার রামধা বাজারে ওষুধ কিনতে গেলে রাজমহল সুইটমিট সংলগ্ন তিজারত স্টোরের মালিক সাহার উদ্দিন তাকে বাজে ইঙ্গিত করে বলেন ❛দোকান খালি আছে ভিতরে চলে আসো❜।

তিনি বলেন, কুপ্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে আমি তাকে গালি দিয়ে দ্রুত ওই স্থঞান থেকে চলে আসি। এরপর রামধা বাজার থেকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে বাবার বাড়ি ফেরার সময়ে চন্দরপুর পল্লিবিদ্যুৎ সাবস্টেশন এলাকায় এলে সাহার উদ্দিনের ছোটভাই লেইস উদ্দিন শান্ত তার সহযোগীদের নিয়ে দুইটি মোটরসাইকেল সহযোগে আমার গতিরোধ করে। সেখান থেকে তারা আমাকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে যায়। এরপর রামধাবাজারস্থ একটি ছোট্ট দোকানের ভেতর নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। শান্তর সাথে তার ভাইয়েরাও এই নির্যাতনের অংশ নেন।

ওই নারীর বাবা বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোবাইল চুরির নাটক সাজিয়ে তারা আমার মেয়েকে তোলে নিয়ে যায়, এবং নির্যাতন করে।

তিনি বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু যা বলেছি সেটা লিখেননি পুলিশ কর্মকর্তা। নির্যাতনের ঘটনার পর লেইস উদ্দিন শান্ত, সোয়েব উদ্দিন, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির ও ইউপি সদস্য আবদুল আহাদ আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গেছেন। নির্যাতনের অসংখ্য চিহ্ন মেয়েটির সারা শরীরে রয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করিয়েছি।

তবে এসব অভিযোগকে মিথ্যে দাবি করে অভিযুক্ত সাহার উদ্দিন বলেন, সেদিন আমার ভাই ওযু করার জন্য বাথরুমে ছিলো, তখন ওই নারী আসেন। দরজা খোলা অবস্থায় ঘরে ঢুকে যায় এবং বের হওয়ার সময় আমার বোন তাকে দেখলে সে বলে সাহায্যের জন্য এসেছি। সে বের হয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় মোবাইল ও টাকাপয়সা নেই।

তিনি বলেন, ওই নারীর খোঁজ নিয়ে তাকে চন্দরপুর রাস্তায় আটকালে সে মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে এবং তার সন্তান মোবাইল রাস্তার পাশের ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে জানালেও অনেক খোঁজাখুজি করে পাইনি।

সাহার বলেন, ঘটনা অন্যদিকে নিতে আমাদেরকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় বলেন, নির্যাতনের উল্লেখ করে একজন নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধেও মোবাইল চুরির পাল্টা অভিযোগ করেছেন আরেকজন। সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ