Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ মে, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-05-13T16:18:26Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জের একজন আলোকিত মানুষ মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম

বিজ্ঞাপন

জাহিদ উদ্দিন: কিছু কিছু মানুষ এ পৃথিবীতে জন্ম নেন সমাজকে আলোকিত করার জন্য, যাদের সততা, মানবতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ত্যাগের আদর্শ ফুলের সুবাসে সমাজ নামক বাগানকে সুরভিত করে, তেমনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম। 

কথা ও কাজে, আচার ও ভূষণে, বিনয় ও চারিত্রিক দৃঢ়তায়, আদর্শে ও নীতিতে, কঠিন সত্যির মুখোমুখিতে নির্ভীক একজন সোনার মানুষ মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি অনন্যসাধারণ। বর্তমান সময়ে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, সফল রাজনীতিবিদ। ইতিমধ্যেই তিনি কথা ও কাজের প্রতিফলন ঘটিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।

প্রথম দিকে যখন সারবিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তখন পৃথিবীর মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও হানা দেয় করোনা ভাইরাস। করোনা সংকটের সময় সারাদেশের ন্যায় গোলাপগঞ্জের মানুষও ঘরবন্দী হয়ে পড়ে। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে যায় হতদরিদ্র, দিনমজুর ও মধ্যবিত্তরা।  করোনা ভাইরাস এমন রুপ ধারণ করে যে, মানুষ ঘর থেকে ভয়ে বের হতোনা। সমাজের অনেক বৃত্তবানরা ঘরবন্দি থাকলে সেই বিপদের সময় গোলাপগঞ্জবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম। সেসময় অসহায় দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার হিসবে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।

করোনা সংকটে শুধু হতদরিদ্ররাই নয় এসময় চরম বেপাকে পড়েছিলেন সমাজের মধ্যবিত্তরাও। যারা চোখ লজ্জায় কারো কাছে হাতও পাততে পারছিলনা। সমাজের সেই সব পরিবারগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে সাহায্য করেছিলেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগ, অঙ্গসংগঠনের অসহায় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম ইতিমধ্যেই কথা ও কাজের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর পাশাপাশি আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

মঞ্জুর কাদের শাফি চৌধুরী এলিম ১৯৭০ সালের ২৬ জানুয়ারি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মুহিবুর রহমান চৌধুরী ও মাতার নাম মেহেরুন্নেসা খানম চৌধুরী। তিনি সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিমের পুরো পরিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর বড় ভাই ফারুক আহমদ চৌধুরী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বৃটেনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অন্যতম সংগঠক  ছিলেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যে কয়জন প্রবাসী দেশে এসে স্থায়ীভাবে ব্যবসা স্থাপন করেন তাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। 

তাঁর আরেক ভাই গোলাপগঞ্জ উপজেলার আলোকিত মানুষ সদ্য প্রয়াত এডভোকেট ইকবাল আহমেদ চৌধুরী। যিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান (মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত) ও ১৯৯৬ সাল থেকে আমৃত্যু গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াই মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। 

মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির সদস্য, ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস্ সিলেট অঞ্চলের সহ-সভাপতি, আতহারিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ গোলাপগঞ্জের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বরায়া উত্তরভাগ মাদরাসা গোলাপগঞ্জের সভাপতি, মুহিবুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রফিপুর গোলাপগঞ্জের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ কিডনী ফাউন্ডেশনের সদস্য, বালাদেশ ডায়েবেটিক সমিতির সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর সদস্যের দায়িত্বে রয়েছেন।

দেশ বিদেশের ব্যবসায়ও তিনি একজন সফল মানুষ। তিনি কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেডের  চেয়ারম্যান, বারাকা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টিজ বোর্ডের সদস্য ও বাংলাদেশ ইনডিপেডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস্এ্যা সোসিয়েশনের (বিপ্পা) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বিগত দিন বাংলাদেশ আমেরিকান বিজনেস এ্যাসোসিয়েশন মিশিগান (বাবাম) যুক্তরাষ্ট্রের (২০০৮ হইতে ২০১০) প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী, বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমোক্রেটিক কোকাস, যুক্তরাষ্ট্রের (২০০৯ হইতে ২০১১) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তিনি বিগত জাতীয় নির্বাচন সমূহে নিজ এলাকা (সিলেট-৬ গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজার) আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের পক্ষে যাবতীয় নির্বাচনী কর্মকান্ডে খুবই সক্রিয় ছিলেন।  সিলেট-১ সদর আসনেও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ডঃ একে আব্দুল মোমেনের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

বিগত দিনে নিজ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিতকরণে কাজ করে গেছেন।

তিনি সংগঠনকে অধিকতর শক্তিশালী করতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে নানা কর্মসুচী পালন, নতুন প্রজন্মের কাছে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনী তুলে ধরতে গোলাপগঞ্জে প্রতিটি ইউনিয়নে আলোচনা এবং ইংরেজী শব্দভাণ্ডার (English Vocabulary) প্রতিযোগিতার আয়োজন, জাতীর সুর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সম্মাননা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সমন্বয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান কর্মসুচী পালন সহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ