বিজ্ঞাপন
জিভি২৪ ডেস্ক : বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেছেন, চারখাইয়ে নদীপথে রপ্তানী হওয়া পাথর ছিল অবৈধ। উপজেলা পরিষদে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে এবং নদী ভাংগন রোধ করতে পাথর বোঝাই নৌকা আটক করা হয়। আটক করা পাথর বৈধ হলে সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমি তা আদালতে মোকাবেলা করবো।
তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার এলাকার মানুষের কোন ক্ষতি হতে দিতে পারিনা। চেয়ারম্যান পল্লব আরো বলেন, অবৈধ পাথর বোঝাই নৌকা আটকের পর তা জোর করে ছাড়িয়ে নিতে চান চারখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। এ সময় আমি প্রতিবাদ করি।
বৃহস্পতিবার আবুল কাশেম পল্লব বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদে তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওসি সাহেব প্রথমে পাথর বোঝাই নৌকার বৈধতা নেই বলে আমাকে জানান। পরে আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার আধাঘন্টা পর সবগুলো নৌকা তিনি ছেড়ে দেন। এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ানীবাজারের চারখাই এলাকার কছকটখা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীপথে পাথর বোঝাই কয়েকটি নৌকা আটক করা হয়। এগুলো অবৈধভাবে পাথর নিয়ে যাচ্ছিল বলে চেয়ারম্যান দাবী করেন। এ ঘটনার পর চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি ভিডিও বার্তা আপলোড করেন। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান পল্লব এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তিনি দাবী করেন, অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, বিয়ানীবাজারের ইউএনওসহ অনেকেই অবগত। ঘটনাস্থল থেকেও তাদেরকে ফোন করা হয়। তারা পাথর বোঝাই নৌকার শ্রমিকদের আটক করে থানায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তিনি অনিয়মের সাথে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব জানান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা ইকবাল সাহেব আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। তার এলাকায় কেউ চাঁদাবাজি করলে তিনি তাকে আটক করেননি কেন বলে প্রশ্ন উত্তাপন করেন।
পল্লব জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ ও এই এলাকা থেকে সকল অনিয়ম দূর করা হবে। এজন্য কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।