Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-11-15T13:39:25Z
সিলেট

এবড়ো-থেবড়ো সড়ক, সংস্কার হচ্ছে ভোগান্তির বাইপাস-হিলালপুর সড়ক

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ:: অবশেষে বাস্তবে রুপ নিচ্ছে আশ্বাস। সিলেট-জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়কের বাইপাস-হিলালপুর নামক প্রায় দুই কিলোমিটার এবড়ো-থেবড়ো সড়ক সংস্কার হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে ছোট-বড় গর্তে ভরপুর জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

চলতি মাসের মধ্যে পূর্ব সিলেটের পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। শীতের মধ্যে দুই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানা যায়। 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বৃহত্তর হেতিমগঞ্জের উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধনে গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ফোন কলের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস প্রদান করেন।

এদিকে সড়কটি সংস্কার শুরু হচ্ছে এ খবরে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও বিভিন্ন সময় এ সড়কের জন্য আন্দোলন করা স্হানীয়দের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছে। 

সুতারকান্দি (শেওলা) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রফতানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ সড়কটি। গত কয়েক বছর থেকে সংস্কারের অভাবে মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কে মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না। ছোট-বড় গর্তের কারণে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে যদি গর্তের মধ্যে কোন গাড়ি আটকিয়ে যেতো তাহলে সড়কের দুই পাশে গাড়ির দীর্ঘ যানজট শুরু হতো। 

ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কারণে গাড়ি চলাচলের সময় ধুলাবালুতে মানুষের দমবন্ধ হয়ে যেত। সড়কের গর্তে যানবাহন পড়ে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। প্রয়োজনের তাগিদে একদিকে সিলেট শহর থেকে এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় যেতে হয় বিভিন্ন পেশার মানুষকে অপরদিকে বিভিন্ন উপজেলার পেশাজীবীদের আসতে হয় সিলেট শহরে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন ও লাখো মানুষকে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।


৫ টি উপজেলায় রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছোট-খাটো দুর্ঘটনা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলেও বড় ধরণের কোন রোগের চিকিৎসার জন্য আসতে হয় সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে। বিশেষ করে ইমার্জেন্সী রোগীদের জন্য সড়কটি বিপদের কারণ হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জেনে সরেজমিন সেখানে গিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও স্হানীয় মানুষের সাথে কথা হয়। 

বেশ কিছু গাড়ি চালক-যাত্রী ও স্হানীয় মানুষ ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি যারা সব সময় সড়কটি সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছেন তাদের সাথে কথা হলে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন। 

বিয়ানীবাজার থেকে সিলেটগামী সিএনজি অটোরিকশা চালক ওলিউর রহমান বলেন, ফেসবুকে অনেককে পোস্ট করতে দেখেছি এই সপ্তাহের ভিতরে নাকি এ সড়কের কাজ শুরু হবে। সড়কটি সংস্কার হলে আমাদের ভোগান্তি দূর হবে। 

মোটরসাইকেল চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, চাই গর্ত বাঁচিয়ে গাড়ি চালানো জন্য। কিন্তু একটুও সুযোগ নেই। 

হিলাপুর গ্রামের রুমেল আহমদ বলেন, অবশেষে এ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কাজ শুরু হওয়ার পর যাতে খুব দ্রুত কাজটি শেষ করা হয় সেজন্য অনুরোধ করতেছি।

হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, আমরা স্হানীয়রা এ সড়কের জন্য কম আন্দোলন করিনি। বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছি। এত দিন কোন কাজ হয়নি৷ যাই হোক এখন শুনেছি এ সপ্তাহের ভিতরে কাজ শুরু হবে এজন্য আমরা খুশি। 

গোলাপগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক সুজন খান বলেন, সড়কটি সংস্কার হওয়ার জন্য কত কষ্ট করেছি সেটি বুঝানোর মত নয়। প্রায় ১৫ বছর থেকে অজানা কারণে সড়কটি সংস্কার হয়নি। দিন দিন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছিল। এবার সড়কটি সংস্কার হচ্ছে শুনে কষ্টটা খুশিতে পরিণত হয়েছে। 

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, চলতি মাসের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ ২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে। 

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ