বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে গত (২৩ নভেম্বর) সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগ থেকেই তামান্নার স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।
এরপর এদিন রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা ( নং ৫৮) দায়ের করে। মামলায় নিহতের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মামুন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- এমরান, পারভীন, মাহবুব সরকার, বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার হওয়ার দিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজহার নামীয় ২নং আসামী এমরানকে কোতোয়ালি থানাধীন সোবহানীঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।
আজ তামান্না হত্যার ১৭ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত অধরা রয়েছে হত্যায় জড়িত প্রদান অভিযুক্ত আসামী স্বামী আল-মামুনসহ ৫জন। বিভিন্ন দফতরে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেও আসামীদের ধরা যাচ্ছে না।
এদিকে তামান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার বরারর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
নিহতের বড় বোন সৈয়দা পান্না বেগম বলেন, আজ এতদিন হয়ে গেলো আমার বোনে হত্যাকারীদের ধরা হচ্ছে না। প্রশাসন চাইলে সবকিছু সম্ভব। কিন্তু এত বড় একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও আমার বোনের হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে। তাহলে কি আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে না। তারা কি খুন করার পরও এভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসামীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সেলিম মিঞা।