বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে গোলাপগঞ্জবাসীর মনে 'অভিশপ্ত' ২০২০ সাল। এ বছরটা গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর জন্য অভিশপ্ত একটি বছর। স্মৃতির পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে এ বছরটি। যা কখনো ভোলার নয়। ইতিহাস খুঁজে এ বছরের মত একটি বিষাদময় বছর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ বছর গোলাপগঞ্জে মর্মান্তিক দুটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৯ আগস্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরি ওয়াসিমা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন স্থানে বড়লেখাগামী (সিলেট-গ ১১-০০৩৫) একটি বাসের সঙ্গে গোলাপগঞ্জের রানাপিং বাজার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি সিএনজি অটোরিকশার (সিলেট-থ ১১-৪১৫৩) মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ৩ জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনসহ ৫ জন মারা যান। দিনটি উপজেলারবাসীর জন্য বেদনাদায়ক একটি দিন ছিলো। অনেকের ঘুম ভাঙে দুর্ঘটনার ফোন শুনে, অনেকের গাড়ির বিকট শব্দ শোনে। চোখ মুছে মুছে অনেকে দৌড়ে দৌড়ে ছুটেন ঘটনাস্থলের দিকে। উদ্ধার করেন নিহতদের। উদ্ধার করে আহতদের হসপিটালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে অটোরিকশা চালক বাহার উদ্দিন (৪০),
ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামের মৃত আজমল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৭) ও তজম্মুল আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (৩০)। তারা দু’জন আপন চাচাতো ভাই। অন্য দু’জন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে বাহাউদ্দীন (৫০) ও একই ইউনিয়নের বীরদল মাঝপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আউয়ালের ছেলে মাহফুজ আহমদ (১৭)।
এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে ২৯ আগস্টের সেই স্মৃতি মনে থাকতে থাকতে ৩০ ডিসেম্বর আবারো আরো একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গোলাপগঞ্জে। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জের মুল্লারগাঁও নামক স্থানে আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দ্রুত গতির একটি মাইক্রোবাস সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকা (মেট্রো ট- ২২৫২৪৭)- কে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে গাড়ির তিন জন যাত্রীসহ পাশের কলনির একটি শিশু সিলিন্ডারের টুকরো উড়ে গিয়ে উপরে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজারের চারখাই এলাকার হাজী আব্দুল জলিলের ছেলে সুনাম মিয়া (২৪) ও একই এলাকার মৃত কুনু মিয়ার ছেলে রাজন (২২), কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি পুর্বকোনা গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে হাফিজ মারজান আহমদ (২৯) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামের পিকআপ চালক মঞ্জ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (৮)।
স্থানীয়রা জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সময় পাশের সুজা মিয়ার কলোনিতে বসবাসরত হাছান বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বাহির হয়। এ সময় সিলিন্ডারের একটি টুকরো প্রায় ১০০ গজ দূরে উড়ে গিয়ে বাসার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটির উরুতে ঢুকে যায়। প্রচুর রক্তকরণ হওয়ার কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এদিকে এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়ে বিছানায় পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
এবছর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের তরতাজা প্রাণ চলে গেছে। নিশ্ব করে দিয়ে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন। অনেকে বাবা-ভাই-ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীদের হারিয়ে অসহায় দিন কাটছে কয়েকজনের।
এ বছর গোলাপগঞ্জে মর্মান্তিক দুটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৯ আগস্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরি ওয়াসিমা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন স্থানে বড়লেখাগামী (সিলেট-গ ১১-০০৩৫) একটি বাসের সঙ্গে গোলাপগঞ্জের রানাপিং বাজার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি সিএনজি অটোরিকশার (সিলেট-থ ১১-৪১৫৩) মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ৩ জন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনসহ ৫ জন মারা যান। দিনটি উপজেলারবাসীর জন্য বেদনাদায়ক একটি দিন ছিলো। অনেকের ঘুম ভাঙে দুর্ঘটনার ফোন শুনে, অনেকের গাড়ির বিকট শব্দ শোনে। চোখ মুছে মুছে অনেকে দৌড়ে দৌড়ে ছুটেন ঘটনাস্থলের দিকে। উদ্ধার করেন নিহতদের। উদ্ধার করে আহতদের হসপিটালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে অটোরিকশা চালক বাহার উদ্দিন (৪০),
ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামের মৃত আজমল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৭) ও তজম্মুল আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ (৩০)। তারা দু’জন আপন চাচাতো ভাই। অন্য দু’জন কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে বাহাউদ্দীন (৫০) ও একই ইউনিয়নের বীরদল মাঝপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আউয়ালের ছেলে মাহফুজ আহমদ (১৭)।
এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে ২৯ আগস্টের সেই স্মৃতি মনে থাকতে থাকতে ৩০ ডিসেম্বর আবারো আরো একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গোলাপগঞ্জে। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জের মুল্লারগাঁও নামক স্থানে আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দ্রুত গতির একটি মাইক্রোবাস সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকা (মেট্রো ট- ২২৫২৪৭)- কে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে গাড়ির তিন জন যাত্রীসহ পাশের কলনির একটি শিশু সিলিন্ডারের টুকরো উড়ে গিয়ে উপরে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- বিয়ানীবাজারের চারখাই এলাকার হাজী আব্দুল জলিলের ছেলে সুনাম মিয়া (২৪) ও একই এলাকার মৃত কুনু মিয়ার ছেলে রাজন (২২), কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি পুর্বকোনা গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে হাফিজ মারজান আহমদ (২৯) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামের পিকআপ চালক মঞ্জ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (৮)।
স্থানীয়রা জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সময় পাশের সুজা মিয়ার কলোনিতে বসবাসরত হাছান বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বাহির হয়। এ সময় সিলিন্ডারের একটি টুকরো প্রায় ১০০ গজ দূরে উড়ে গিয়ে বাসার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটির উরুতে ঢুকে যায়। প্রচুর রক্তকরণ হওয়ার কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এদিকে এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়ে বিছানায় পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
এবছর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের তরতাজা প্রাণ চলে গেছে। নিশ্ব করে দিয়ে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন। অনেকে বাবা-ভাই-ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীদের হারিয়ে অসহায় দিন কাটছে কয়েকজনের।