বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ বসন্তের প্রথম বৃষ্টি নামলো গোলাপগঞ্জের মাটিতে। সেই সাথে ভিজলো ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, মানুষের বাসা-বাড়ির টিন-ছাদ। ভিজেছে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতরত বিভিন্ন ধরনের গাড়ি।
নিমিষেই শেষ হলো পথের ধুলিবালি। সড়কের ছোট-বড় গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি। এই পানি কিছুক্ষণের মধ্যে শুকনো মাটি চুষে নিবে। পানির জন্য খাঁ খাঁ করা ফসলি জমি কিছুটা খাবার পেয়েছে। বৃষ্টির সাথে বিকট শব্দে চলে যায় বিদ্যুৎ। নিমিষেই অন্ধকার হয়ে যায় পুরো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে আবার চলেও আসে।
ভেজা বাতাসে আমের মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। রাতের এই বৃষ্টি জানিয়ে দিল আসছে রুদ্র হাওয়ার দিন, পাতা উড়ানোর দিন। আসছে কালবৈশাখীর দিন। সেই সাথে অসহায় মানুষের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বৈশাখের আর বেশি দিন নয়। ভাঙাচোরা ঘর টিক করতে হবে।
শনিবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ উপজেলা জুড়ে শুরু হয় এক পশলা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। রাস্তা দিয়ে চলাচলরত পথচারীরা আশ-পাশের দোকান গুলো দৌড়ে উঠতে শুরু করেন মোটরসাইকেল- বাইসাইকেল-রিক্সা গুলোও অবস্থান নেয় নির্দিষ্ট একটি স্থানে।
অনেকের সাথে হঠাৎ বৃষ্টি সম্পর্কে কথা হলে তারা জানান, বিশেষ করে রাস্তার যে ধুলোবালি সেটা কমেছে। ফসলি জমির জন্য এ বৃষ্টি অনেকটা সময়োপযোগী। অনেকে বসন্তের প্রথম বৃষ্টিকে উপভোগও করেছেন।
এদিকে কুমিল্লা অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সন্ধ্যায় পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তারপরের দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।