Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-01-15T08:43:33Z
তথ্য প্রযুক্তি

বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়া স্মার্টফোন আসছে বাজারে

বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে তৈরি নোকিয়ার জি টেন (G10) এবং জি টোয়েন্টি (G20) মডেলের স্মার্টফোন।

ডেস্ক রিপোর্ট : জি টেন (G10) এবং জি টোয়েন্টি (G20) মডেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন বাজারে আনছে আন্তর্জাতিক মোবাইল ফোন ব্র‍্যান্ড নোকিয়া।  বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মেইড ইন বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করা হয়।

জানা যায়, এই দুইটি সেটই বাংলাদেশে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির একটি কারখানায় তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত ‘ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড’ নামে বাংলাদেশে নোকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গাজীপুরের হাইটেক সিটির ব্লক ৫ এ নোকিয়া ফোনের কারখানা অবস্থিত। আধুনিক প্রযুক্তিতে গড়া এই কারখানায় একাধিক যাচাই ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্যের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়। এজন্য প্রতিটি ফোনকে স্বয়ংক্রিয় ও মানুষের দ্বারা পরিচালিত, দুই ভাবে গুণগত মানের পরীক্ষায় পার হয়ে আসতে হয়। 

বলা হয়েছে, শুরুতে কারখানায় প্রতিদিন ৩০০ ফোন সংযোজন করা হবে। ২টি মোড়কজাতকরণ ও ৪টি সংযোজনসহ মোট ৬টি প্রোডাকশন লাইন আছে কারখানাটিতে। নিজস্ব পরীক্ষাগার সম্বলিত কারখানাটি প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোতে স্বয়ংস্বম্পূর্ণ এবং কারখানাটিতে প্রায় ২০০ কর্মী রয়েছে। 

আঙ্গুলের ছাপ ও ব্যবহারকারীর ফেইস রিকগনিশনের মাধ্যমে ফোন আনলকের অপশন থাকছে এ দুটি মডেলে। দীর্ঘায়ুর এই দুটি ফোনেরই রয়েছে আকর্ষণীয় ৬.৫ ইঞ্চি টিয়ারড্রপ ডিসপ্লে। বেশি আলোতে দেখার জন্য আছে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ব্যবস্থা।  ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের জি-২০ ফোনে আছে চারটি ব্যাক ক্যামেরা। 

এছাড়াও স্মার্টফোনটিতে আছে পর্যাপ্ত স্টোরেজ, ওজো সারাউন্ড অডিওসহ আকর্ষণীয় ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড এঙ্গেল ব্যাক ক্যামেরা। এদিকে ১৩ হাজার ৪৯৯ টাকা মূল্যের নোকিয়া জি-১০ মোবাইলে আছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্বা সম্বলিত শুটিং মোড। এর মাধ্যমে কম আলোতেও অত্যন্ত ভালো ছবি তোলা সম্ভব। তাই প্রতিটি মুহূর্তই পুরোপুরি নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব। 

অনুষ্ঠানে বলা হয়, জি-সিরিজের ফোনগুলির ফিচার নিখুঁতভাবে সমন্বয় করা, তাই ফোনগুলো সমস্যা সমাধানের প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে। জি-১০ এবং জি-২০ উভয় ফোনই তিন দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। এটাই নোকিয়া স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। নোকিয়ার জি-২০ সেট-টি নোকিয়া স্মার্টফোনের সিগনেচার ‘অ্যান্ড্রয়েড প্রতিশ্রুতি’ দ্বারা সমর্থিত। এটা একজন ব্যবহারকারির ডেটা যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে তিন বছর পর্যন্ত মাসিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দুই বছর পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ বা আপডেট করে। 

ইউনিয়ন গ্রুপের ডিরেক্টর আলভী রানা বলেন, ‘নোকিয়ার মতো গ্লোবাল একটি ব্র্যান্ডের অংশীদার হওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানজনক। এইচ এমডি গ্লোবালের নির্দেশনায় ইউরোপীয় মানে আমরা কারখানা স্থাপন করেছি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে নোকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে আলভী রানা বলেন, আমাদের ডিভাইসগুলোর পাশাপাশি স্পেয়ার পার্টস যাতে পাওয়া যায় সেইদিকেও আমরা খেয়াল রাখছি। স্থানীয়ভাবে তৈরি করা নোকিয়া স্মার্টফোন আমদানিকৃত ফোনের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ