বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: দোকানপাট-শপিংমল খুলেছে। সড়কে সব ধরনের যানবাহনের দেখা মিলছে। দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে মানুষের চায়ের সাথে গল্পের আড্ডা বেড়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষের জনসমাগম। অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরগরম। সবকিছু আগের মত হয়েছে। যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গোলাপগঞ্জ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দীর্ঘ ১৯ দিন পর সবকিছু খুলে দেয়ায় আগের রুপে ফিরেছে গোলাপগঞ্জ। মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে সব জায়গায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্য বিধি। মাস্ক ব্যবহারেও দেখা গেছে অনীহা। বাইরে বের হলে প্রশাসনের জরিমানার মুখে পড়তে হবে এ চিন্তাও মানুষের দূর হয়েছে। যে যার মত চলাচল করছেন।
বুধবার (১১ জুলাই) উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম শহর গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ভরপুর গাড়িতে। সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলা। মানুষের জনসমাগম।
এদিকে লকডাউন খুলে দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বাস্ব্য বিধি না মানলে করোনা আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা বলেন, 'এতদিনে লকডাউন শেষ হয়েছে। লকডাউন যেভাবে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্য বিধি মানা হয়েছে। এখনও তা মানা জরুরি। তা না হলে করোনার ভয়াবহতা বাড়তে থাকবে।'
ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, 'এতদিন পর দোকান খুলতে পেরে খুশি। তবে ব্যবসা নেই। আশা করছি লকডাউন যেহেতু শেষ হয়েছে ব্যবসাও হবে।'
অটোরিকশা চালক জুমেল আহমদ বলেন, 'লকডাউনে খুব কষ্টে ছিলাম। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। আমাদেরও অসুবিধা হয়েছে যাত্রীদেরও হয়েছে।'
বাস চালক আব্দুল করিম বলেন, 'এতদিন পর গাড়ি চালাতে পেরে আনন্দ লাগছে। আর যদি লকডাউন না হয় তাহলে পরিবার নিয়ে কিছুটা খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারব।'