বিজ্ঞাপন
দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ : টানা প্রায় দুই বছরের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারনে লকডাউন সাটডাউন সহ করোনার কারনে গোলাপগঞ্জের সাধারণ ব্যবসায়ীরা নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, জনস্বাস্থ্যের কল্যাণে এবং ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা সেটাকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে লকডাউনের খবরে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ খুদ্র ব্যবসায়ীরা। কারণ মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকার কারনে পুরোপুরি আয়শূন্য হয়ে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।
লকডাউন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে, দীর্ঘসময় ধরে চলা লকডাউনের কারনে সাধারণ খুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন গোলাপগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক। তিনি আরো বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋন ও দোকান ভাড়া পরশোধ করতে না পারায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন । তা ছাড়া মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গত বছরের করোনার ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কারণ লকডাউনে সবাই পুঁজি ভেঙে চলেছে। অনেকেই ঋণগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে আবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে পরিবার নিয়ে দুর্শ্চিন্তায় যেন শেষ নেই তাদের।
গোলাপগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সদস্য কাওসার আহমদ বলেন আমার কাছে অনেক ব্যবসায়ী এসে বলেন, ভাই কোথায় যাব আমরা এভাবে বাচার চেয়ে মরে গেলেই ভাল হয় তাদের কথায় যেন করুন দীর্ঘশ্বাস অনুভব করি।
খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীররা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আহমদ খান রোডের এক ব্যবসায়ী জানান দুই বছরের দোকান ভাড়া ব্যাংক ঋন আমি দেউলিয়া হয়ে যাব,প্রতিদিন ব্যাংক ঋনের কিস্তির তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কোথা থেকে আমি সেই টাকা জোগাড় করবো বলেন।
গোলাপগঞ্জ বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মো: আবদুর রকিব বলেন প্রতিদিনের বাড়ী থেকে আসা যাওয়ার খরছ জোগাড় করতে মহিমশিম খাচ্ছি ব্যবসার কথা বলে লাভ নেই।
উল্লেখ্য,দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সকালে প্রথম ‘লকডাউনের’ খবর জানান। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘লকডাউনের’ সিদ্ধান্তের কথা জানান।