Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-09-23T11:46:33Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলা এলপিজি প্ল্যান্ট বন্ধের ষড়যন্ত্রের পরিণতি হবে ভয়াবহ

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলা এলপি গ্যাস লিমিটেড ও রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড- আরপিজিসিএল একটি বেসরকারি লুঠেরা গোষ্ঠির হাতে তুলে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনেরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সিলেটের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল-গ্যাস নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে আশির দশকে গোলাপগঞ্জ তথা সিলেটবাসীর গণআন্দোলন ষড়যন্ত্রকারীদের নিশ্চয়ই মনে আছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এলপিজি প্ল্যান্ট ও আরপিজিসিএল প্ল্যান্ট কারো দয়ায় গোলাপগঞ্জ হয়নি, এলাকার গণমানুষের তীব্র গণআন্দোলনে তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়েছে প্ল্যান্ট দুটি গোলাপগঞ্জ স্থাপন করতে। গণতান্ত্রিক সরকারের দুই প্রধানমন্ত্রীই ৮ বছরের ব্যবধানে প্ল্যান্ট দুটি ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করেন। প্রায় ২২ বছরের বেশি সময় থেকে অত্যন্ত মানসম্মত উৎপাদন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্ল্যান্ট দুটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এমনি অবস্থায় দেশিয় একটি বেনিয়া লুঠেরা গোষ্ঠির চোখ পড়েছে প্ল্যান্ট দুটির ওপরে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেট্টোবাংলা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসির কতিপয় অসাধু শীর্ষ কর্মকর্তা। প্রায় বছরখানের আগে করোনায় যখন মানুষ বিপর্যস্ত, ঠিক তখন এই লুঠেরা মহল তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বহুমুখি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্ল্যান দুটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে প্ল্যান্ট দুটিকে অলাভজনক দেখিয়ে লে-অফ ঘোষণা করে একটি বেসরকারি লুঠেরা বেনিয়া গোষ্ঠির হাতে লিজ দেয়ার পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করেছে। এই লুঠেরা গোষ্ঠির দোসর পেট্টোবাংলা ও বিপিসির কতিপয় কর্মকর্তা এলজিপি প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে রুগ্ন দেখিয়ে ইতোমধ্যে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চট্টগ্রামে সরিয়ে নিয়েছে। প্ল্যান্টটি বেসরকারি লুঠেরা মহলের হাতে তুলে দিতে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব কষছে।

নেতৃবৃন্ধ পেট্টোবাংলা ও বিপিসির প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বিবৃতিতে বলেন, প্ল্যান্ট দুটি নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সিলেটবাসী বরদাশত করবে না। যে কোনো মুল্যে এই ষড়য্ন্ত্র প্রতিহত করা হবে। আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তারা আর আগানোর চেষ্ঠা করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। সরকারকে প্ল্যান্ট দুটি অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, কোনো বেসরকারি লুঠেরা গোষ্ঠি নয়, রাস্ট্রিয় ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান্ট দুটি চালু রাখতে হবে।

বিবৃতিতে, লুঠেরা মহলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে গোলাপগঞ্জ তথা সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, সিলেট জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্ল্যাহ শহিদুল ইসলাম, সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ,আইডিয়ার নির্বাহী নজমুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অম্বরিষ দত্ত, সাম্যবাদী দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ধীরেণ সিংহ, ন্যাপ ঐক্য সিলেট জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল, সিপিবি জেলা সভাপতি হাবিবুল ইসলাম খোকা,বাসদ (মার্ক্সবাদী) আহ্বায়ক উজ্জল রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সিকান্দর আলী, বাসদ সমন্বয়ক আবু জাফর, ওয়ার্কার্স পার্টি(মার্ক্সবাদী) জেলা সভাপতি সিরাজ আহমদ, ন্যাপ ঐক্য সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বাবুল, গণতন্ত্রী পার্টি সাধারণ সম্পাদক জুনেদুর রহমান চৌধুরী, সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক সুশান্ত সিনহা সুমন,জাসদ সাধারণ সম্পাদক কে,এ কিবরিয়া চৌধুরী, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, জাসদ মহানগর সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রানী সেন শম্পা, বাসদ(মার্ক্সবাদী) জেলা সদস্য এডভোকেট হুমায়ূন রশীদ শোয়েব, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট রণেন সরকার প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ