বিজ্ঞাপন
তবে এসময় রাহেল সিরাজ বাসায় না থাকায় তার ভাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন শুভেচ্ছা জানাতে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত ১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান রাহেল সিরাজ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ওই দিন সিলেট জেলা ও মহানগরে সভাপতি-সম্পাদকের নাম প্রকাশ করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের একাংশের রোষানলে পড়েন নবনির্বাচিত সেক্রেটারি রাহেল সিরাজ। কমিটি ঘোষণার দিনই তার বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর থেকে প্রতিদিনই রাহেল সিরাজের বাসায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভিড় লেগে থাকতো। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সে ভিড় আরও বাড়ে।
জানা যায়, ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের তেলিহাওর গ্রুপের সাবেক ও বর্তমান একদল নেতাকর্মী রাহেল সিরাজের বাসায় হামলা করেন। তেলিহাওর গ্রুপ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান। কিন্তু কমিটিতে রাহেল সিরাজ সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে মেনে নিতে পারেননি গ্রুপের শীর্ষ নেতারা।
রাহেল সিরাজের ভাই অভিযোগ করেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদ, মহানগর শাখার সাবেক সহ সভাপতি সুজেল তালুকদার ও যুবলীগ নেতা দুলাল আহমদের নেতৃত্বে ১০-১৫টি মোটর সাইকেলে ৩০-৩৫ জন যুবক তার বাসায় হামলা চালান। এসময় তাকে বাইরে পেয়ে তার উপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। তিনি দৌঁড়ে বাসায় ঢুকে আত্মরক্ষা করেন। এরপর হামলাকারীরা বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং রাহেল সিরাজ ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান করেন। তবে এ ঘটনায় পরবর্তীতে কোনো মামলা হয়নি।
