বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ইউপিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গননা। রোববার (২৬ ডিসেম্বর ) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গোলাপগঞ্জের সবকটি ইউপিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এসব কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল।
তবে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফতেহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিশৃংখলার ঘটনা ঘটে। এসময় ব্যালট পেপার ছিনতাই, সাংবাদিক লাঞ্চিত, মাছরাঙা ও এনটিভির ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে এবং নৌকার প্রার্থী সেলিম উদ্দিনের সমর্থকদের হাতে সাংবাদিকরাও লাঞ্চিত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সাংবাদিকদের ক্যামেরা উদ্ধার করা হয় । এই ঘটনার পর প্রায় আধাঘন্টা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত তাকে। এরপর ৪টার পর আরো আধাঘন্টা ভোটগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে ৫৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও সাড়ে ৪ শতাধিক সাধারণ সদস্য (পুরুষ) এবং সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য (নারী) প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১০ জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একজন, জাসদের একজন, বিদ্রোহী ৪ জন, বিএনপির (স্বতন্ত্র) ১৫ জন, জামায়াতের (স্বতন্ত্র) ৮ জন, (সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল নয় এমন) স্বতন্ত্র ১৩ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং অফিসার, ইউএনও মো: গোলাম কবির বলেন, 'কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারে একটু হট্রগোল হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।