Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-07-23T15:53:33Z
লিড নিউজসিলেট

লোডশেডিংয়ের নিয়মে হেরফের : চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুতও মেলে না সিলেটে

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক রেশনিং পদ্ধতিতে লোডশেডিং চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে সিলেটেও এ পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে।

এলাকাভিত্তিক দেড় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নিয়মে চলছে হেরফের। উঠেছে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ না মেলার অভিযোগও।
গ্রাহকের চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ না মেলায় ঘোষিত লোডশেডিংয়ের সূচি ঠিক রাখতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে গ্রাহককে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার বিপরীতে অর্ধেক চেয়েও কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় সরবরাহ ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে নিত্যনৈমিত্তিক সূচির পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বুধবার (২০ জুলাই) থেকে সময়মতো লোডশেডিং মানা হচ্ছে না। কোথাও কোথাও চার ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। নগরীর চারটি ডিভিশনে দফায় দফায় লোডশেডিং করা হয়েছে।

উপজেলার গ্রামীণ জনপদে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকাগুলোয় লোডশেডিংয়ে তীব্রতা এত বেশি, গ্রাহকরা প্রতি মুহূর্তে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দিন কিংবা রাত, সমান তালে লোডশেডিং চলছে। ২৪ ঘণ্টার ভেতর আট থেকে ১০ ঘণ্টাও ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে প্রচণ্ড গরমে গ্রামীণ জনপদের গ্রাহকদের অবস্থা নাজেহাল।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়ার দিলীপ কুমার দাস বলেন, দিনে-রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও ২০-৩০ তা মিনিটের বেশি স্থায়িত্ব হচ্ছে না। রাতে বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। সাধারণ মানুষ পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিলেও নম্বর ব্যস্ত রাখার অভিযোগ করেন তিনি।

দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালিক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে মাইকিং করে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা জানানো হলেও সারা দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মেলে না। রাতে বিশ থেকে ২৫ মিনিট করে কয়েক বার বিদ্যুৎ আসে। বাকি সময় অন্ধকারেই কাটাতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলায় লোডশেডিংয়ের অবস্থা একই। দিন-রাত মিলিয়ে বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে বাসা-বাড়ির ফ্রিজে থাকা খাবার নষ্ট হচ্ছে, ছোট ছোট শিশুরা গরমে কষ্ট পাচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১’র নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল করিমের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত নগরের বেশিরভাগ এলাকায় সম্ভাব্য ৪ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে।

ডিভিশন-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন জানান, তার অধীনস্থ এলাকায় ৬০ হাজার গ্রাহকের জন্য ৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে পেয়েছেন মাত্র ১৬ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার ৪৫ ভাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আর ৫৫ ভাগ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ফলে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবাহের পর আরও এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। নতুন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ না মিললে এভাবে চালাতে হবে। শনিবারও সব এলাকায় একই অবস্থা।

সিলেটের সব কয়টি বিতরণ অঞ্চলে বরাদ্দ অর্ধেকের কম পাওয়া গেছে, যে কারণে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। একই অবস্থা ডিভিশন-৩ ও ৪ এর আওতাধীন এলাকায়ও। ফলে লোডশেডিংয়ের কোনো রোস্টার থাকছে না।  

তিনি আরও বলেন, ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিংয়ে সময়ের ব্যত্যয় ঘটছে। ঘাটতি কম হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা করবে।

পিডিবি সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের অধীনে গ্রাহক আছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার। আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক আছেন প্রায় ১৯ লাখ। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে চাহিদা প্রায় সাড়ে ৫০০ মেগাওয়াটের। এর মধ্যে শনিবার জেলায় চাহিদা ছিল ১৭৫ মেগাওয়াট।

তার স্থলে পল্লী বিদ্যুৎসহ গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হয়েছে ৮৭ মেগাওয়াট। এরমধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ২৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৬ মেগাওয়াট দেওয়া হয়েছে। ফলে ৮৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এ কারণেই জন ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

সূত্র : বাংলা নিউজ 
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ