Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2022-09-05T12:25:15Z
জানা-অজানাধর্ম ও জীবন

যে কারণে ৭০০ বছরেও খোলা হয়নি প্রিয় নবীজির রওজার মূল দরজা

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : সুদীর্ঘ ৭০০ বছরেও নবীজির রওজার মূল দরজা খোলা হয়নি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আবেগ এতটাই বেশি যে নবীজির রওজার দরজা খোলা থাকলে হয়ত তার ভিতরে ধূলা বালিও নিয়ে যেত তাই নবীজির রওজা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বেশ খানিকটা দূরে থেকে রওজা জিয়ারতের সুযোগ দেয়। আবার অনেক মুসল্লি বেশি আবেগের বশবর্তী হয়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। কিন্তু ইসলাম ধর্মে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করার অনুমতি নেই।

তাই এ ব্যাপারে নবীজির রওজা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সবসময় যথেষ্ট সচেতন থাকেন। তারা দরজা বন্ধ রেখে বেশ খানিকটা দূরে থেকেই মুসল্লিদের রওজা জিয়ারতের সুযোগ করে দেন। আর উম্মতরা তখন সারিবদ্ধভাবে নবীর রওজা শরিফের সামনে গিয়ে দরূদ ও সালামে চারপাশ মুখরিত করে তোলে। রাসূলুল্লাহর (সা.) কবরগাহের দেয়াল কালো পাথরে তৈরি। এটি নবী ও তার দুই সঙ্গীর কবরকে ঘিরে রেখেছে।

৯১ হিজরিতে খলিফা হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয (র.) দেয়াল নির্মাণ করেন, যাতে কেউ রাসূলের কবরগাহে প্রবেশ করতে না পারেন। এছাড়াও এটি বন্ধ রাখার আরো একটি কারণ হলো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দেহ মোবারক চুরি বা ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা। বহু আগে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছিলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৫৫৭ ঈসায়ি সালে সুলতান নুরুদ্দীন (রহ.)-এর শাসনকালে দেহ মোবারক চুরির ঘটনা।

যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি নজরে আসলে সুলতান রওজা পাকের চারপাশে মাটির গভীর থেকে সিসা ঢালাই করে মজবুত দেয়াল নির্মাণ করে এর সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে রওজা মোবারকের দরজাটি স্থায়ী সোনালি রঙের গ্রিল দিয়ে এমনভাবে বন্ধ করা হয়েছে, যাতে কেউ এটি সহজে খুলতে না পারে। রাসূল (সা.) এর কবরগাহের কক্ষটি চারপাশে বেষ্টনীতে আবদ্ধ থাকায় রাসূল (সা.) এবং তার দুই সঙ্গীর কবর বাইরে থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই। 

শুধু কামরাটির প্রবেশ পথের গ্রিলে তিনটি ছিদ্র পথ রয়েছে, যা দিয়ে রাসূল (সা.) এবং তার দুই সঙ্গীদের কবর সরাসরি দেখা যায়। বাম থেকে প্রথম বড় ছিদ্রপথ দিয়ে রাসূল (সা.) কবর, মাঝের ছিদ্রপথে হযরত আবু বকরের (রা.) কবর এবং সবার ডানের ছিদ্রপথে হযরত উমরের (রা.) কবর দেখা যায়।

নবীজির জীবদ্দশায় যে ঘরটিতে স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে বসবাস করতেন, সে ঘরটিতেই মৃত্যুর পর তাকে দাফন করা হয়। মদিনায় অবস্থানকালে কবর জিয়ারতের পাশাপাশি হাজীদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হচ্ছে মসজিদে নববীতে হাজিরা দেয়া এবং সেখানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের রওজা শরীফ এবং এর থেকে পশ্চিম দিকে রাসূল সা: এর মিম্বর পর্যন্ত স্বল্প পরিসরের স্থান টুকুতে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেস্তের বাগিচা বলা হয়। এই অংশটুকুতে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে। সে স্তম্ভগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বা খুঁটি বলা হয়ে থাকে। দুনিয়াতে এটিই একমাত্র জান্নাতের অংশ।

সূত্র : প্রবাস টাইম

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ