Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-01-15T05:49:05Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বেহাল অবস্হা

বিজ্ঞাপন

জিভি২৪ ডেস্কঃ   সিলেটের গোলাপগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবলের অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১১ জনের পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে সংকট। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের জন্য সার্বক্ষণিক ৫/৬ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ২ জন। সেই সঙ্গে এক্সরে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন, ইসিজি মেশিন, চোখ পরীক্ষার মেশিন চালানোর কোন লোক নেই। প্রতিদিন ৪/৫শ’ রোগী চিকিৎসা গ্রহণের জন্য এ হাসপাতালে আসেন অথচ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোক না থাকায় তারা কাঙ্খিত মানের সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে নানা বয়সী লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।

মাত্র ২ বছর আগ পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা সেবায় দেশের সেরা একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনাম অর্জন করেছিল। এ সময় সব বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকায় রোগীরা পেয়েছিল কাঙ্খিত মানের সেবা। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা পদোন্নতি ও বদলী জনিত কারণে অন্যত্র চলে যাওয়ায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা খুব বেহাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫শ’ লোক চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য এখানে আসেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতি মাসে গড়ে ৫শ রোগী ভর্তি হন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে ভর্তি করা হয়। এক্ষেত্রে উপজেলার অন্য যেকোন এলাকার চেয়ে নদী তীরবর্তী ও হাওরের আশপাশের লোকজনই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশ কিছুদিন ধরে চোখ পরীক্ষার মেশিন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। মেশিন পরিচালনার লোক না থাকায় চোখের রোগীরা এখানে কোন সেবা পাচ্ছে না। 

অনুরূপভাবে আল্টাসনোগ্রাফী মেশিন ও ইসিজি মেশিন পরিচালনার লোক নেই। যার ফলে ঐসব রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলেও বাইরে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নকর্মীর অভাব। যেখানে ৬ থেকে ৭ জন পরিচ্ছন্নকর্মী থাকার কথা সেখানে আছেন মাত্র ২ জন মহিলা। তারাও আবার বয়োবৃদ্ধ। যার ফলে প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বড় ধরণের সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে ঢুকলেই দুর্গন্ধ অনুভূত হয়।

সম্প্রতি জামালগঞ্জ থেকে ডাঃ মনিসর চৌধুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর পূর্বে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে ডাঃ তাওহীদ আহমদ দায়িত্বে ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে তিনিও পদোন্নতি নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে যোগদান করেছেন। হাসপাতালে বর্তমানে মেডিসিন, শিশু, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, সার্জারী, অর্থো ও সার্জারী, চক্ষু, ইএনটি, অ্যানেসথেসিয়াসহ ১১টি পদে চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এক বিভাগের ডাক্তারকে অন্য বিভাগের রোগী দেখতে হচ্ছে। যার ফলে উপজেলা পর্যায়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ এ চিকিৎসা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানটি বেহাল অবস্থায় পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসক ও অন্যান্য শূন্য পদগুলোতে লোক নিয়োগ করা না হলে ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ