বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে আব্দুল বশির (৫০) নামের এক বৃদ্ধের বাম হাতের ক্ববজি কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষ।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়িনের বাগলা মিরের চক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার গুরুতর অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করেন। আহত ব্যক্তি বাগলা মিরের চক গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুুুুপুুরে আব্দুল বশির জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে মিরের চক জামে মসজিদে রওয়ানা হন। এসময় পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় ৪/৫ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর বাম হাতের ক্ববজি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং অপর আরেকটি হাত মাংসের সাথে ঝুঁলে থাকে। এছাড়াও পা সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায়তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত আব্দুল বশিরের পুত্র আলী হোসেন জানান, বাগলা মীরের চক গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম (৪৫) এর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে তার ছেলে লিটন আহমদ (২৪) সহ একই এলাকার মৃত আলা উদ্দিমের পুত্র আলতার আহমদ (৩৫), নুর ইসলামের পুত্র শাহাদত আহমদ (৩৪), সামাদ আহমদ (২৯) কে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাবার উপর হামলা করে । হায়নারা আমার বাবার একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে এবং আরেকটি হাত মাংসের সাথে ঝুঁলে রয়েছে। আমি হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান, এ দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান, এ দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।