বিজ্ঞাপন
অলিউর রহমান তামিম : গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকেই টিকেট কাউন্টার, ঔষধ কাউন্টার, ডাক্তারের চেম্বারের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
এরমধ্যেই আবার সকাল ১১টার দিকে টিকা কাউন্টারে স্টাফ পরিচিতদের লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়ার অভিযোগে বাঁধে সংঘর্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকা প্রদান কার্যক্রম। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের একটি টিমের সহযোগিতায় প্রায় ঘন্টাখানেক জরুরি সভায় তা নিরসনে আসে।
উপজেলার ঘোষগাঁও একার বাসিন্দা মনিরা সুলতানা এসেছিলেন চিকিৎসাসেবা নিতে। সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ লাইন থাকায় নিতে পারেননি চিকিৎসা। দীর্ঘ লাইন আর সংঘর্ষের কারণে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরেন এই মহিলা। ক্ষোভ প্রকাশ করে চিকিৎসা সেবা না নিতে পারাকে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন তিনি।
এদিকে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মানা হচ্ছিল না স্বাস্থ্যবিধি। ছিল ভিড়, হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলা। লাইন ভেঙে টিকা নেওয়ার অভিযোগও করেন অনেকে। কার আগে কে টিকার বুথে প্রবেশ করবে- এই ছিল প্রতিযোগিতা।
করোনা টেস্ট বুথেও ছিল একই চিত্র। নারী-পুরুষের ছিল দীর্ঘ লাইন। টিকার লাইনে তরুণ, মধ্যবয়সী, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
করোনা পরীক্ষা করতে আসা সাদেক হোসেন সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও করোনা টেস্ট করাতে পরেননি। দুপুর ১২টার সাথে সাথেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বুথ-এমনও অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন বলেন, সিরিয়াল নিয়ে একটি ঝামেলা হয়েছিল, তা অবশ্য শেষ হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রোগীদের দীর্ঘ লাইনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন জায়গায় থেকে রোগীরা সেবা নিতে আসেন। রোগীদের সাথে আবার গাড়ি এবং চালকও থাকেন। রোগীদের চাপ বেশি হওয়ায় অনেক সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হয়। আমাদের সবসময়ই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।