Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-02-25T12:18:47Z
জৈন্তাপুরলিড নিউজ

জৈন্তাপুরে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বিজ্ঞাপন

নাজমুল ইসলাম, জৈন্তাপুর : সিলেটের জৈন্তাপুরে ২৭ বছর পর নতুন ভাবে গম উৎপাদনে উৎসাহী হয়েছে কৃষক। চলতি বছরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে গম চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা ও দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ শেষে ফাল্গুনী বাতাসে বিস্তৃত ফসলের মাঠ টেউ খেলছে গমের সবুজ শীষ। আর এতে লাভের আশায় স্বপ্ন বুনছেন জৈন্তাপুরের গম চাষী কৃষক। ধান কেটে নিয়ে গম চাষের সুযোগ থাকায় এবং বর্তমানে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এখন গম চাষে ঝুঁকেছেন। করোনা, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষক নতুন উদ্ভাবিত ফসলের সন্ধান করে গম চাষে উদ্যোগী হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়।

এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরারা মধ্যে ও তারা গমের আশানুরোপ ফলাফলে সন্তুুষ্ট। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের নিজাম উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন, আমজাদ আলী, সালেহ আহমদ সহ কয়েক জন জানান বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা গমের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পাবো বলে আশা রাখি।১ বিগা প্রতি ২০ মন গমের ফলন হবে বলে জানান কৃষক আমজাদ হোসেন।

উপজেলার খলা গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী বলেন গম চাষে খরচ কম। ভাল দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় তিনি দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। গমের কোন কিছু ফেলতে হয়না। গম বিক্রির পর গমের খড় গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায় এবং জমির উর্ভরা শক্তি নষ্ট হয় না।

উপজেলা কৃষি অফিসার আরো জানান গম চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা ভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষের খরচ কম। দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে কৃষক দের আগ্রহ বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা আক্তার জানান জৈন্তাপুর উপজেলায় ১বছর একশো বিগার মত গম চাষাবাদ ও প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। কৃষককে বীজ, সার ও আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুনাংশ দাস জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১শ বিগা জমিতে গম চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় কৃষি প্রণোদনার আওতায় প্রতি জন কৃষককে ২০ কেজি উন্নত জাতে গম বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি, এমওপি সার দেয়া হয়েছে। 
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ